মঙ্গলবার, ০৬ মে ২০২৫, ০১:২৩ অপরাহ্ন
মুক্তিযুদ্ধে বরিশাল, পটুয়াখালী ও খুলনা জেলা নিয়ে গঠিত ৯নং সেক্টর কমান্ডার ছিলেন মেজর এম.এ.জলিল। এপ্রিল মাসে তিনি সুন্দরবনের কাছাকাছি ভারতের হিংগুলগঞ্জ সীমান্ত ফাঁড়ি দিয়ে ইস্টার্ণ কমান্ড হেডকোয়ার্টারে যান এবং সেখান থেকে অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে প্রতিরোধ যুদ্ধ শুরু করেন। এছাড়া ৮নং সেক্টরের কমান্ডার মেজর ওসমান তাকে গোলাবারুদ ও অস্ত্র দিয়ে সাহায্য করেন।
মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক আতাউল গণি ওসমানীর সাথে রনকৌশল নিয়ে যুদ্ধ চলাকালীন সময়ে দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়। যুদ্ধক্ষেত্রে জলিলের ‘হিট এন্ড রান’ কৌশলটি ওসমাণির মন:পুত হয়নি। এছাড়াও যুদ্ধের শেষের দিকে ভারতীয় সেনাবাহিনীর সাথেও জলিলের এক ধরণের মনোমালিন্য হয়। এরই ধারাবাহিকতায় যুদ্ধ শেষে জলিল বরিশাল থেকে যশোর হয়ে ঢাকা আসার পথে ৮নং সেক্টর কমান্ডার মঞ্জুর তার সামরিক ফোর্স দ্বারা জলিলকে গ্রেফতার করে এবং পরবর্তীকালে সামরিক আদালতে জলিলকে দোষী সাব্যস্ত করে সেনাবাহিনী চাকরী থেকে অব্যাহতি প্রদান করা হয়। মেজর জলিল হলো একমাত্র সেক্টর কমান্ডার যাকে কোনো খেতাবে ভূষিত করা হয় নাই। অত:পর ১৯৭২ সালে জলিল রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত হয় এবং নবগঠিত জাসদের সভাপতি মনোনীত হয়।
শাফায়েত জামিল রাজীব
-সম্পাদক
একুশে টাইমস্ নিউজ মিডিয়া
এন্ড ইউটিউব চ্যানেল।